Black Seed (কালো জিরা)
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেনঃ“তোমরা কালো জিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যৃ ব্যতীত সর্বরোগের মুক্তি এতে রয়েছে”। তিরমিযী,বুখারী,মুসলিম থেকে নেয়া হয়েছে। সহীহ বুখারী (ইফাঃ)/অধ্যায়ঃ ৬৩/ চিকিৎসা, পরিচ্ছদঃ ২২৭৮. কালোজিরা— ৫২৮৫। আবদুল্লাহ ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … খালিদ ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (যুদ্ধের উদ্দেশ্যে) বের হলাম। আমাদের সংগে ছিলেন গালিব ইবনু আবযার। তিনি পথে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এরপর আমরা মদিনায় আসলাম তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাকে দেখাশোনা করতে আসেন ইবনু আবূ আতীক। তিনি আমাদের বললেনঃ তোমরা এই কালো জিরা সংগে রেখো। এ থেকে পাঁচটি কিংবা সাতটি দানা নিয়ে পিষে খাবে, তারপর তন্মধ্যে যায়তুনের কয়েক ফোটা তৈল ঢেলে দিয়ে তার নাকের এ দিক-ওদিকের ছিদ্র পথে ফোটা ফোটা করে ঢ়ুকিয়ে দেবে। কেননা আয়িশা (রাঃ) আমাদের নিকট বর্বনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ এই কালো জিরা ‘সাম’ ব্যতিত সকল রোগের ঔষধ। আমি বললামঃ সাম- কি? তিনি বললেনঃ সাম- অর্থ মৃত্যু।
তিরমিযী,বুখারী,মুসলিম থেকে নেয়া—হযরত কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, “প্রতিদিন ২১টি কালো জিরার ১টি পুটলি তৈরী করে পানিতে ভিজাবে এবং পুটলির পানির ফোঁটা এ নিয়মে নাশারন্দ্রে (নাশিকা, নাক) ব্যবহার করবে-“প্রথমবার ডান নাকেরছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। দ্বিতীয়বার বাম নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং ডান নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। তৃতীয়বার ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা ও বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা।” হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যখন রোগ-যন্ত্রণা খুব বেশী কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু সেবন করবে।” – মুজামুল আওসাতঃ তাবরানী। ভালো কালো জিরা বাছাই করে ব্যবহার করুন।
গুনাগুণ
চির যৌবন ১৫/১৬ টি কালো জিরা ছোট ১টি পিয়াজ ও ২ চামচ মধু সহ বিকালে/রাতে খেলে চির যৌবন রক্ষা হয়।
কালো জিরা পরিচয়
কালো জিরার বৈজ্ঞানিক নাম (Nigella Sativa linn)। এটি মাঝারি আকারের মৌসুমি গাছ। একবার ফুল ও ফল হয়। গোলাকার ফল হয় এবং প্রতিটি ফলে ২০-২৫ টি বীজ হয়। পাচ ফোড়নের উপাদান এটি। বীজথেকে পাওয়া যায় তেল।
কালো জিরা পুষ্টিগুণ
এই ভেষজ গুন সমৃদ্ধ উপাদানে আছে প্রোটিন, ভিটামিন-বি, নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস,কপার,জিকং,এবং ফোলাসিন। এছাড়া আছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি ২, নায়াসিন, ভিটামিন সি এবং কার্বোহাইড্রেট। এই ভেষজ গুন সমৃদ্ধ উপাদানটিতে কি কি উপকারিতা আছে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব ইন শা্ আল্লাহ।
উপকারিতা
– স্মরণ স্মৃতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
– শরীর ব্যথা, অরুচি, গলা ও দাতের ব্যথা,মাইগ্রেন, চুল পড়া,সর্দি, কাশি ও হাপানি নিরাময়ে সাহায্য করে।
– ক্যান্সার প্রতিরোধেক হিসেবে কাজ করে।
– হজমের সমস্যা দূর করে।
– চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে।
– চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে। – হার্টের রোগীদের জন্য অনেক উপকারি।
– যোন শক্তি হিসেবে অনেক অনেক ভাল কাজ করে আলহামদুলিল্লাহ।
– শিশুর দৈনিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ক্ষতিকারক দিক
কালো জিরা প্রতিনিয়ত এবং পরিমান মত খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত কোন কিছু না খাওয়া উচিত আমাদের। অতিরিক্ত খেলে হীতে বিপরীত হতে পারে।
কালো জিরা খাওয়ার নিয়ম
কালো জিরা চিবিয়ে খাওয়া যায়। মধু দিয়ে খাওয়া যায় তবে আগে কালো জিরা খেয়ে তারপর মধু খেতে হবে। চা দিয়ে খাওয়া যায়। ভর্তা বানিয়ে খাওয়া যায় আলহামদুলিল্লাহ।
আমাদের শেষ কথা
তো আমাদের প্রতিনিয়ত কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য কালো জিরা গুরুত্ব অনেক। প্রতিদিন কালো জিরা খেলে শরীর সুস্থ থাকবে সুখী দীর্ঘায়ু জীবন উপভোগ করতে পারবেন ইন শা্ আল্লাহ। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখুক আমিন।
Reviews
There are no reviews yet.